রবিবার, ০৮ Jun ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নওগাঁয় ভিজিডি কর্মসূচির কার্ড-ধারীদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে চাল বিতরণ করার অভিযোগ কুরবানির হাটে অনিয়ম: ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইউএসএস-এর উদ্যোগে লালমনিরহাটে বৃক্ষরোপণ টানা বৃষ্টিপাতে থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা ডিমলায় পশুর হাটে চলছে ইচ্ছে মতো খাজনা আদায়, ৫০০ টাকার খাজনায় ভ্যাট ৫০০ সারা দেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি সিরাজগঞ্জের গাবগাছি হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ শরণখোলা উপজেলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির গঠনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
সৌদিতে বাংলাদেশি নারীদের যৌন নিপীড়নের ভয়াবহ তথ্য ফাঁস!

সৌদিতে বাংলাদেশি নারীদের যৌন নিপীড়নের ভয়াবহ তথ্য ফাঁস!

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়া নারীদের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই।

শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে পত্রিকাটি জানিয়েছে, নিয়োগকারীদের দ্বারা যৌন ও শারীরিভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে শত শত নারী কাজ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এসব নারীদের থাকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র (সেইফ হোম) খুলতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।

রিয়াদ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ফাঁস হওয়া গোপনীয় কূটনৈতিক বার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে বলে দাবি মিডলইস্ট আই’র।

ঢাকার একজন কূটনীতিককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পালিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা নারীরা অভিযোগ করেন নিয়োগকর্তারা তাদের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন চালান। কেউ আবার অসুস্থ হয়েও আসেন। তাই তারা এখানে আশ্রয় নিতে চান।’

২০১৫ সালে লেখা ওই কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ জন নারী আশ্রয় কেন্দ্রে আসেন। অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা নারীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা আশ্রয়ে কেন্দ্রে আরও আসন বৃদ্ধি ও সিসিটিভি পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ওই বার্তায়।

এছাড়া একজন কাউন্সেলর পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে বার্তায় আরও বলা হয়, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা নারীদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসে কোনো নারী কূটনীতিক নেই।

আশ্রয় নেয়া নারীরা দেশে ফিরে আসতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের সাথে পোসপোর্ট বা অন্যান্য কাগজপত্র থাকে না।

মিডলইস্ট আই’কে কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, সৌদি আরবে পৌঁছার পরপরই গৃহকর্তারা তাদের কাছ থেকে সব ধরনের কাগজপত্র নিয়ে নেয়। এতে অনেকের পক্ষে সহজে দেশে ফিরে আসা সম্ভব হয় না।

আবার কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেন নিয়োগকর্তারা। ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরতে কখনো ১৫ দিন বা এক মাস আবার কখনো ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।

সৌদিতে এ ধরনের আশ্রয় কেন্দ্রে সংখ্যা কত তার কোনো নির্দিষ্ট তথ্য বার্তায় দেয়া হয়নি। তবে ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, জেদ্দা এবং রিয়াদে অন্তত ২৫০ জন নারী আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন।

গত চার বছরে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী যাওয়ার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে ৫ হাজারের কিছু বেশি নারী সৌদি গিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে যান ২১ হাজার জন, ২০১৬-তে ৬৮ হাজার, ২০১৭-তে ৮৩ হাজার বাংলাদেশি নারী সৌদিতে গিয়েছেন। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন ১৬ হাজারের বেশি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com